ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য ও কানাডা।এর ফলে এসব দেশে পুতিন ও ল্যাভরভের কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ হবে এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।

রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরদিন শুক্রবার এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে। খবর বিবিসি।

রাষ্ট্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ বিরল ঘটনা। এর আগে ইইউ শুধু সিরিয়া ও বেলারুশের প্রেসিডেন্টদ্বয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।

ব্রাসেলসে ইইউ পররাষ্ট্র বিষয়ক কাউন্সিলের পর শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে নিষেধাজ্ঞার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত আলোচনার চূড়ান্ত ফলাফল। গতকাল ইউরোপীয় কাউন্সিলে এটি শেষ হয়নি। আজ রাষ্ট্রদূত এবং মন্ত্রীরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুতরাং রাষ্ট্রপতি পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন।

এর আগে ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বৃহস্পতিবারই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ইইউ কর্মকর্তারা।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিন বলেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিন দায়ী। ইইউ এ জন্য তাকেই দায়ী করবে।

জরুরি এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা প্রযুক্তি এবং মার্কেটে রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করতে তাদের অর্থনীতির কৌশলগত খাতকে নিশানা করব। আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির ভিত এবং আধুনিকায়নের সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেব। এছাড়া ইইউ দেশগুলোতে রাশিয়ার সম্পদ জব্দ করাসহ ইউরোপীয় অর্থবাজারেও রাশিয়ার প্রবেশ বন্ধ করা হবে বলে তিনি জানান।

 

কলমকথা/ বিথী